Pages

Tuesday, March 11, 2014

পোষ্টটা না পড়ে কেউ লাইক দিবেন না।

(পোষ্টটা না পড়ে কেউ লাইক দিবেন না।)
''লাইক' নয় শুধু হজরতের কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে হৃদয়ে অনুভব করুন, প্লীজ।কত হাজার বার চিন্তা করার মত গভীর কিছু ঈমানী উক্তি এটি ?
' দাওয়াত ও তাবলীগ ' এর প্রানপ্রিয় আকাবির __মাওলানা সা'দ সাহেব ( দা বা ) খুব কষ্ট নিয়ে হৃদয় ভাঙ্গা আওয়াজে বলেনঃ-
_____________ 'সাইন্স' মানুষকে শিরকের দিকে কিভাবে নিয়ে যায় তার খেয়াল হয়তো কেউ রাখতে চায়না। কারন 'সাইন্সের' আলোতে আজ আমরা আলো দেখি,সুইচ অন করে বাতাস নেই বা এই রকম আরও শত শত সুবিধা ভোগ করি।তাই 'সাইন্সের' মাধ্যমে এত আরামের নানা উপকরণ -সুবিধা পেয়ে উম্মতি মুহাম্মদি আল্লাহ্‌র উপর হতে একীন হারিয়ে ফেলছে এই হুঁশ হয়ত তার নেই। এমনকি 'সাইন্সের' ক্ষতিকর দিকে নজর রাখতেও আমরা ভুলে বসে আছি !
তিনি একটা বাস্তব ঘটনার উদারন দিয়ে বলেন -'কিছুদিন আগে আমরা সাথীরা সফরে যাবার আগে অপেক্ষা করছিলাম।
তখন এক সাথী আমাকে এসে বলে _'হজরত নিউস পেপারে দেখলাম, এক মাস বৃষ্টি হবেনা !
হুজুর তাকে বলেন- বৃষ্টি কখন হবে সেটা আল্লাহ্‌ ভাল জানে ।
তখন সাথী বলেন -' হজরত এই পত্রিকা অনেক বিশ্বাসযোগ্য এবং সঠিক তথ্য নির্ভর খবর দেয় !
তখন সা'দ সাহেব খুব রাগের সাথে তাকে বলেন- এক মাস বৃষ্টি না হবার সম্ভবনা, এটা মাখলুকের দেওয়া খবর ;অথচ বৃষ্টি কখন হবে এটা আল্লাহ্‌ নিজেই জানেন বলে ' আল কুরআনে' বলে দিয়েছেন। তাহলে আল্লাহর উপর পুরো ভরসা ছেড়ে মাখলুকের কোন হিসাব বা কথার উপর একিন করা কত বড় জাহেলাতি হবে ভাবতে পারো !
আমি সাথীদের বলবো বৃষ্টির জন্য এখনি সালাতুল হাজত পড়ে আল্লাহ্‌র কাছে খুব দোয়া করতে ।
' আল্লাহ্‌ হু আকবার, কাবীরা ' ________
মাওলানা সা'দ সাহেব বলেন - আমি দেখলাম কিছু সাথী নামাজ পড়ে, খুব দোয়া করছে। ঠিক ৩০ মিনিট হবে, তারপর আকাশে ঘন মেঘের আবরণ দেখা গেল এবং কিছুক্ষণ পর এমন বৃষ্টি হয়েছে যে , আমাদের সঃফরে যাবার গাড়ি চলার অবস্থা থাকল না । রাস্তায় পানি জমে গেল । সকল সাথীরা এত উল্লাসের সাথে শুকর করলেন যেন, সকলের মধ্যে সেদিন ' ঈমান - একিনের' নতুন বীজ বপন হল ।
হুজুর বলেন - আজ 'সাইন্স ' উম্মতকে মাখলুকের সাথে জুড়ে দিচ্ছে ; অথচ এই উম্মতকে জীবনের সব কিছুর জন্য আল্লাহ্‌র সাথে জুড়ে দেবার জন্য নবী - রাসুল এবং কুরআন এসেছে।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত।

ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ ﺑَﻠِّﻐُﻮﺍ ﻋَﻨِّﻲ ﻭَﻟَﻮْ ﺁﻳَﺔً
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ আমার পক্ষ
থেকে একটি বাণী হলেও পৌঁছে দাও। {সহীহ
বুখারী, হাদীস নং-৩২৭৪, সহীহ
ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৪৯,
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৪৭,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৫৪২}

Thursday, March 6, 2014

ইসলামধর্মে হস্তমৈথুন
সম্পূর্ণ
হারাম ।
→হস্তমৈথনে ক্ষতিসমূহঃ
হস্তমৈথুনের
কারণে দুই
ধরনের
সমস্যা হয়, (১)
মানসিক সমস্যা ।
(২) শারীরিক সমস্যা ।
• পুরুষদের ক্ষেত্রেঃ
১) পুরুষ হস্তমৈথুন
করলে প্রধান
যে সব
সমস্যায়
ভুগতে পারে তার
মধ্যে একটি হল
নপুংসকতা (Impotence)

অর্থাৎ ব্যক্তি যৌন
সংগম
স্থাপন
করতে অক্ষম হয়ে যায় ।
২) আরেকটি সমস্যা হল
অকাল বীর্যপাত
(Premat
ure
Ejaculation) ।
অর্থাৎ খুব অল্প
সময়ে বীর্যপাত ঘটে ।
৩) বীর্যে শুক্রাণুর
সংখ্যা কমে যায় । তখন
বীর্যে শুক্রাণুর
সংখ্যা হয় ২০
মিলিয়নের কম (২
কোটি) ।
যার ফলে সন্তান
জন্মদানে ব্যর্থতার
দেখা দেয় । একজন পুরুষ
যখন স্ত্রী গমন
করেন
তখন তার
থেকে যে বীর্য বের
হয়
সে বীর্যে শুক্রাণুর
সংখ্যা হয়
৪২ কোটির মত ।
স্বাস্থ্যবিজ্ঞা ন
মতে কোন
পুরুষের
থেকে যদি ২০ কোটির
কম
শুক্রাণু বের
হয় তাহলে সে পুরুষ
থেকে কোন সন্তান
হয়
না ।
৪) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন
পুরুষের
যৌনাঙ্গকে দুর্বল
করে দেয় ।
• নারীদের
ক্ষেত্রেঃ ১)
নারীরা যখন স্বমেহন
বা হস্তমৈথুন
করে তখন তার
কুমারীত্ব (Virgi
nity) হারানোর
সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।
অনেকে স্বমেহন
করতে গিয়ে কুমারীত্ব
হারিয়ে ফেলে ।
ফলে তার
বিয়ে করতে সমস্যা হয়

বিয়ের পর স্বামী তার

অবস্থা দেখে তাকে সন্দেহ
করে তালাক দেয় ।
তাই হস্তমৈথুন
নারীদের
অনেক বড়
সমস্যার সৃষ্টি করে ।
আরো অনেক
সমস্যা থাকতে পারে ।
• নারী-পুরুষ উভয়ের
ক্ষেত্রেঃ
১) পুরো শরীর দুর্বল
হয়ে যায়
এবং শরীর রোগ-
বালাইয়ের
যাদুঘর
হয়ে যায় ।
২)চোখের ক্ষতি হয় । ৩)
স্মরণ শক্তি কমে যায় ।
৪) মাথা ব্যথা হয় ।
৫) আর উময়েরই
সামান্য
উত্তেজনায়
যৌনাঙ্গ থেকে তরল
পদার্থ
বের হয় । ফলে অনেক
মুসলিম ভাই-
বোনেরা সালাত
পড়তে পারেন না ।
ইত্যাদি আরো অনেক
অজানা সমস্যা হয়
হস্তমৈথুনের কারণে ।
→ বাঁচার উপায়ঃ
(ছেলে,মেয়ে উভয়ের
জন্য)
১. নামাযের পর
সুরা তওবার
শেষ দুই
আয়াত পড়ে গায়ে ফুঁক
দিবে প্রতিদিন ।
এটা পরীক্ষীত...
২. কোন কারণে লিঙ্গ
উত্তেজিত
হলে হাত দ্বারা স্পর্শ
করবেন
না ।
৩.অশ্লীলতার
ধারে কাছেও যাবেন
না এবং খারাপ
কিংবা অশ্লীল
ছবি দেখবেন না ।
৪. FB তে বা অন্য
কোথাও অশ্লীল
কিছু
দেখলে নিজেকে বিরত
রাখার সর্বোচ্চ
চেষ্টা করবেন

৫. সর্বদা আল্লার
প্রতি ভয়
রাখবেন ।
৬. যেহেতু এটি হারাম
তাই
আপনার
ইচ্ছা শক্তি দৃঢ়
রাখবেন, তাহলেই
হারাম
থেকে বাচতে আল্লাহও
সাহায্য
করবেন ।
এই
প্রশ্নটি হয়তো অনেকের
মনে ছিলো কিন্তু
লজ্জায় কারো কাছ
থেকে জানতে পারতেন
না ।
পোস্টটি থেকে আপনার
উপকার
হয়ে থাকলে অন্যদের
জানার
সুযোগ
করে দিন Share, Copy
Paste, Like,
Comments যে কোন
মাধ্যমে ।

copy pst......

---মুহিউদ্দীন কামিল

সুন্দর সকালের দিকে তাকিয়ে তোমাকে স্মরণ করছি হে রাব্বুল আলামীন।
সৃষ্টি এত সুন্দর হলে তুমি কতটা সুন্দর সেটা পঞ্চইন্দ্রীয়ের কল্পনার বাইরে।
ভালোবাসি তোমায় হে পালনকর্তা।
তোমাকে কাছে পেতে ব্যাকুল এ হৃদয় তাইতো প্রতিনিয়ত তোমার বেধে দেওয়া কাজগুলো করতে চেষ্টা করি কিন্তূ... 
শক্তি দাও প্রভূ....
---মুহিউদ্দীন কামিল

মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৯৯৪, জামেউল মাসানীদ, হাদীস নং-১২১১৯, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-১৭৯ মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৬৮৩০

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَا مِنْ عَبْدٍ يَقُولُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ , مِائَةَ مَرَّةٍ إِلَّا بَعَثَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَوَجْهُهُ كَالْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ

হযরত আবূ দারদা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, কোন ব্যক্তি যদি “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” একশত বার পাঠ করে, তাহলে কিয়ামতের দিন তার চেহারা পূর্ণিমা চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল করে উঠানো হবে।

মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৯৯৪,

জামেউল মাসানীদ, হাদীস নং-১২১১৯,

কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-১৭৯

মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৬৮৩০

Monday, March 3, 2014

হাত কিভাবে বাঁধতে হবে - - - আহলে হাদীস ভাইদের ভ্রান্ত যুক্তির জবাব।

হাত কিভাবে বাঁধতে হবে - - - আহলে হাদীস ভাইদের ভ্রান্ত যুক্তির জবাব।

February 27, 2014 at 8:28pm
        হাত কোথায় বাঁধতে হবে তা নিয়ে এখন আমি আলোচনা করছি না। এখন আলোচনার বিষয় হলো হাত কিভাবে বাধতে হবে। অর্থাৎ ডান হাতের পাঞ্জা দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরতে হবে নাকি বাম হাতের পুরা জিরার উপর পুরা ডান হাত রাখতে হবে। আশা করি কোন বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যাক্তি আলোচনার মোড়কে  অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। সামনে কোন এক অবসরে ইনশাআল্লাহ নাভীর নিচে হাত বাঁধার ব্যাপারেমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবার এর হাদীসটি এবং বুকের উপর হাত বাধার ব্যাপারে মুয়াম্মাল বিন ইসমাইলের রেওয়াতের ব্যাপারে ব্যাপক আলোচনা হবে।

        আহলে হাদীস ভাইদের পক্ষে থেকে এ ব্যাপারে যে ধরণের কথা শুনা যায়  – “বাম যিরার উপর ডান হাত রাখলে তো এমনিতেই হাত বুকের উপর চলে আসে।”  তাদের এই বিভ্রান্তিকর  ভিত্তিহীন কথার ব্যাপারেই এখন আলোচনা করতে চাচ্ছি।

       আমাদের আহলে হাদীস ভাইদের একটা বৈশিষ্ঠ্য হল নিজেরা হাদীস মানার নামে মাঝে মাঝেই হাদীসের মনগড়া শাব্দিক অর্থের ধুয়াশা তৌরি করে। আর এর মাধ্যমেই নাকি তারা আহলে হাদীস!!! আজব !!!  এভাবে বেশ কিছু বেদায়াত তারা তৌরি করেছে যার সাথে হাদীসের কোন সম্পর্ক নেই। এর মধ্যে একটি হল “সালাতে বাম হাতের পুরা যিরার উপর ডান হাতের পুরা যিরা স্থাপন করা।” অবাক লাগে যখন দেখি এ ধরণের সাজ আমালের জন্য তারা আবার দলিল দেয় বুখারী থেকে।

        বর্তমানের বিখ্যাত সালাফী আলেম শায়খ বকর বিন আবদুল্লাহ আবু যায়েদ তার ‘লা জাদীদা ফী আহকামিস সালাহ’ কিতাবে এ ব্যাপারে কিছু কথা বলেছেন। এগুলো উল্লেখ করেই আমি মূল আলোচনায় যাবো ইনশাআল্লাহ।
       “‘কিন্তু সম্প্রতি যে দলটির উদ্ভব ঘটেছে,তাদের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি,মুসলমানদের প্রতিদিনের ইবাদত-বন্দেগীর ওয়াজিব-মুস্তাহাব বিষয়ে, যে ইবাদত-বন্দেগী ইসলামের মহান নিদর্শন ও প্রতীকও বটে,এমন সব ধারণার বিস্তার ঘটছে যেগুলোর সাথে কোনো যুগে আলিম সমাজের কোনো পরিচিতি ছিল না। অতি নমনীয় ভাষায় বললে, এসব ধারণার কোনো কোনোটির সূত্র হচ্ছে বহুকাল আগের বর্জিত কিছু মত।
       ‘আর কোনো ধারণা পরিত্যক্ত হওয়ার জন্য তোএ-ই যথেষ্ট যে, তা সকল আলিমের মতামত থেকে বিচ্ছিন্ন।
       ‘কোনো কোনো ধারণার অর্থ দাঁড়ায়,ইসলামের প্রথম যুগ থেকে আজ পর্যন্ত গোটা মুসলিম উম্মাহ ছিল সুন্নাহ বর্জনকারীও সুন্নাহ থেকে বিচ্যুত।অন্য ভাষায়, তারা ছিল সম্মিলিত ভাবে পাপীও অপরাধী।”
‘তোএই সকল ভ্রান্তির কারণকী?
      ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা হচ্ছে সুন্নাহ বোঝার ক্ষেত্রে অতিশয়তা, আর কখনো (আরবী) ভাষার বাকরীতি ও হাদীস-ফিকহের মূলনীতি সম্পর্কে উদাসীনতা।
       ‘এই সকল বিভ্রান্তি হচ্ছে দলীলের বিষয়ে মূলনীতি বর্জনের এবং নামাযের স্বাভাবিক অবস্থা ও ফিকহ-খিলাফিয়াতের কিতাব থেকে বিমুখতার কুফল। অথচ ঐ সকল কিতাবে আহকাম ও বিধানের তত্ত্ব, কারণ ও বিশেষজ্ঞদের মতভিন্নতার আলোচনা থাকে। (’-লা জাদীদা ফী আহকামিস সালাহ পৃ. ৩-৪)

হাদীসের ভূল অর্থ নিয়ে আহলে হাদীস হয় কিভাবে?

        আহলে হাদীস ভায়েরা বাম হাতের যিরার উপর ডান হাতের যিরা রাখাকে সুন্নাহ মনে করেন এবং ডান হাতের পাতা বাম হাতের পাতা,কব্জি ও যিরার উপর না রেখে ডান হাতের যিরা বাম হাতের যিরার উপর রাখেন।হাত বাঁধার ক্ষেত্রে এটা একটা বিভ্রান্তিও বিচ্ছিন্নতা। কোনো সহীহ হাদীসে যিরার উপর যিরা রাখার কথা নেই, সাহাবা-তাবেয়ীনের যুগেও এর কোনো অস্তিত্ব ছিল না এবং কোনো মুজতাহিদ ইমাম এই নিয়মের কথা বলেননি।
       তারা তাদের এ বিভ্রান্তিকর আমলের দলিল হিসেবে বুখারী শরিফের সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত  হাদীস এবং আবু দাউদ, মুসনাদে আহ্‌মাদ, নাসাঈ , ইবনে খুজায়মার ওয়াইল ইবনে হুজর রা বর্ণিত হাদীসের অপব্যাক্ষা করেন।

সাহল ইবনে সাদ রা. এর হাদীস

        সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত, ‘লোকদেরকে আদেশ করা হত, তারা যেন তার ডান হাত বাম যিরার উপর রাখে।’ (-মুয়াত্তা মালিক পৃ. ৫৫ ; সহীহ বুখারী ১/১০৪)
        এই হাদীসে যিরার উপর যিরা রাখার কথা নেই। বাম যিরার উপর ডান হাত রাখার কথা আছে।

        সাহল বিন সাদ রাযি এর হাদীসের ব্যাপারে বুখারী শরীফের বিখ্যাত ভাষ্যকার হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন –
         “বাহুর কোন জায়গায় রাখতেন সেটা এই হাদীসে অস্পষ্ট। আবূ দাউদ ও নাসাঈ বর্ণিত ওয়াইল রাযিঃ এর হাদীসে বলা হয়েছে- ‘অতঃপর তিনি তাঁর ডান হাত বাম হাতের তালুর পিঠ, কব্জি ও বাহুর উপর রাখলেন।’ ইবনে খুজাইমা রহঃ প্রমুখ এটিকে সহিহ বলেছেন। সালাত অধ্যায়ের শেষে দিকে হযরত আলী রাযিঃ এর অনুরূপ আছার (হাদীস) এর উল্লেখ আসছে। (ফতহুল বারী২/২৭৫)।

         হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ এ বিষয়ে মূল মর্ম বর্ণনার ক্ষেত্রে বললেন – “সালাত অধ্যায়ের শেষে দিকে হযরত আলী রাযিঃ এর অনুরূপ আছার (হাদীস) এর উল্লেখ আসছে।” (ফতহুল বারী২/২৭৫)

        তাহলে এবার আমরা আলী রাযিঃ এর আমালটি বুখারি শরিফ থেকে দেখি- “আলী রাযিঃ (সালাতে) সাধারণত তার (ডান হাতের) পাঞ্জা বাম হাতের কব্জির উপর রাখতেন।” (বুখারী ১/১৫৯,ইফা ২/৩৩০)


ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত বুখারী শরিফ ২য় খন্ড ৩৩০ পৃষ্ঠা।।।



        ইমাম আবুল ওয়ালিদ আলবাজী রাহ. (৪৯৪হি.) হযরত সাহল ইবনে সাদ রা.-এর হাদীসেরব্যাখ্যায় বলেছেন হাদীসের অর্থ হচ্ছেডান হাত কব্জির উপর রাখবে। কারণ ডান হাত বাম হাতেরপাতার উপর রাখা যাবে না। তা রাখতে হবে বাম হাতের গোড়া  কব্জির উপর। আর তার উপর ভরদেওয়া যাবে না। (আলমুনতাকা শারহুল মুয়াত্তা /১৬৪)


ওয়াইল ইবনে হুজর রা বর্ণিত হাদীসটিঃ

        ‘(আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর ডান হাতবাম হাতের পাতা, কব্জি ও যিরার উপর রাখলেন।’  (মুসনাদে আহমদ ৩১/১৬০, হাদীস : ১৮৮৭০; সুনানে আবু দাউদ ১/৪৮৩, হাদীস : ৭২৭)।

       এই বর্ণনাতেও বলা হয়নি ডান যিরা রেখেছেন।বলা হয়েছে,ডান হাত রেখেছেন।

        ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক ইবনে খুযায়মা রাহ. (৩১১ হি.) সহীহ ইবনে খুযায়মায় হাদীসের এই পাঠ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ‘যিরার উপর যিরা’র অর্থগ্রহণ করেননি। তিনি এই হাদীসের উপর শিরোনাম দিয়েছেন-
بابوضع بطن الكف اليمنى على كف اليسرى والرسغ والساعد جميعا.
        অর্থাৎ ডান হাতের পাতা বাম হাতের পাতার পিঠ,কব্জি ওবাহুর উপর রাখা। (দেখুন : সহীহ ইবনে খুযায়মা ১/২৭২, বাব: ৯০)

        ইমাম আবুল আববাস আহমদ ইবনে  উমার আল কুরতুবী রাহ. সহীহ মুসলিমে বর্ণিত ওয়াইল ইবনে হুজর রা.-এর হাদীসের আলোচনায় বলেন,ইবনুল মাজিশূন ইমাম মালিক রাহ. থেকে বর্ণনা করেছেন যে, (নামাযী) ডান হাত দ্বারা তার বাম হাতের গোড়া ও কব্জি পেঁচিয়ে ধরবে। উপরের হাদীসটি তার দলীল। (আলমুফহিম লিমা আশকালা মিনতালখীসি কিতাবিমুসলিম ২/২১)

         ইবনে কুদামা হাম্বলী রাহ.(৬২০ হি.) বলেন, (নামাযে) ডান হাত বাম হাতের কব্জি ও তৎ সংলগ্ন অংশের উপর রাখা মুস্তাহাব। কারণ হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি আল্লাহর রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামাযের বিবরণ দিয়েছেন এবং সে বিবরণে বলেছেন, ‘অতপর তিনি তাঁর ডান হাত রাখলেন তার বাম হাতের পাতার পিঠ,কব্জি ও বাহুর ।(আলমুগনী২/১৪১)।

        একই কথা বলেছেন আল্লামা ইবনে কুদামা মাকদেসী রাহ.(৬৮২ হি.)। (আশশারহুল কাবীর (আলমুগনীর সাথে মুদ্রিত) ১/৫৪৯)।

ফকিহ এবং মুহাদ্দিসগণ সাহল বিন সাদ রাযিঃ এর বর্ণনা এবং ওয়াইল ইবনে হুজর রাযিঃ এর বর্ণনার যে ব্যাক্ষা করেছেনঃ

         পূর্বেই শায়খ বকর বিন আবদুল্লাহ আবু যায়েদ হাফিজুল্লাহ এর কথা উল্লেখ করেছি যে - “কোনো ধারণা পরিত্যক্ত হওয়ার জন্য তোএ-ই যথেষ্ট যে, তা সকল আলিমের মতামত থেকে বিচ্ছিন্ন। ”  (লা জাদীদা ফী আহকামিস সালাহ পৃ. ৩-৪)
   
         বিখ্যাত ফকীহ ও মুহাদ্দিসগণ বলেছেন,নামাযে হাত এমনভাবে রাখা উচিত, যাতে ডান হাতের পাতা বাম হাতের পাতার কিছু অংশ,কব্জি ও বাহুর কিছু অংশের উপর থাকে। তাঁরা ওয়াইল ইবনে হুজর রা.-এর হাদীসের এই পাঠ এবং হযরত সাহল ইবনে সাদ রা.-এর হাদীসকে দলীল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

         আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রাহ. নামাযে হাত বাঁধার নিয়ম সম্পর্কে বলেন, ‘তাকবীর সমাপ্ত হওয়ার পর দুই হাত ছেড়ে দিবে এবং ডান হাত বাম হাতের কব্জির উপর এমন ভাবে রাখবে যে, ডান হাত দ্বারা কব্জির গোড়ার হাড় পেঁচিয়ে ধরবে কিংবা ডান হাত কব্জির উপর এমন ভাবে বিছিয়ে দিবে যে, হাতের আঙ্গুলি সমূহ যিরার দিকে (ছড়ানো) থাকে। ডান হাত যদি কব্জির ওপরের দিকে (যিরার উপর) কিংবা কব্জির  নিচে বাম পাতার উপর রাখে তবে সেটাও জায়েয।’
         এরপর তিনি হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা.-এর হাদীস,যাইদা ইবনে কুদামার বর্ণনা,সাহল ইবনে সাদ রা.-এর হাদীসও হুলবরা.-এর হাদীসকে দলীল হিসেবে উদ্ধৃত করেছেন। (শরহুল উমদা পৃ. ৬৫-৬৬)
      
        আল্লামা ইবনে হাযম রাহ.(৪৫৬ হি.) নামাযে হাত বাঁধার বিষয়ে বলেছেন, ‘মুস্তাহাব এই যে, নামাযী কিয়ামের হালতে তার ডান হাত বাম হাতের পাতার গোড়ায় রাখবে।’  (আলমুহাল্লা গ্রন্থে ৩/২৯-৩০)
       এরপর তিনি সাহল ইবনে  সাদ রা.-এর হাদীস সহ আরো কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।       
আলোচনার শেষে বলেন,‘আবু মিজলায, ইবরাহীম নাখায়ী, সায়ীদ ইবনে জুবাইর, আমর ইবনে মায়মূন, মুহাম্মাদ ইবনে সিরীন, আয়্যুব ছাখতিয়ানী ও হাম্মাদ ইবনে সালামা থেকেও আমরা বর্ণনাপেয়েছি যে, তাঁরাও (নামাযে) এভাবে করতেন (হাত বাঁধতেন)।
        আরএটি আবু হানীফা, শাফেয়ী, আহমদ ও দাউদ-এর সিদ্ধান্ত।(আলমুহাল্লা গ্রন্থে ৩/২৯-৩০)

        ইমাম নববী রাহ. (৬৭৬ হি.) শাফেয়ী মাযহাবের মনীষীদের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করেছেন যে, ‘সুন্নাহ হচ্ছে,তাকবীরে (তাহরীমার) পর দুই হাত নামিয়ে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখবে এবং ডান হাতের পাতা দ্বারা বাম হাতের পাতার গোড়া এবং কব্জি ও বাহুর কিছু অংশ ধরবে। কাফফাল বলেছেন, ডান হাতের আঙ্গুল আড়াআড়ি ভাবে কব্জির উপর রাখা বা বাহুর উপর ছড়িয়ে দেওয়া দুটোরই অবকাশ আছে। (শরহুল মুহাযযাব’’গ্রন্থে ৪/৩২৭ )
        এরপর বলেন, (পৃ. ৩২৯)আমাদের মনীষীগণ সাহল ইবনে সাদ রা.-এর হাদীস দ্বারা এ নিয়ম প্রমাণ করেছেন। তেমনি ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকেও বর্ণিত হয়েছে যে, ‘অতপর (আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর ডানহাত রাখলেন বাম হাতের পাতার পিঠ,কব্জি ও বাহুর উপর।’

       আল্লামা শাওকানী রাহ.ও (১২৫৫ হি.) ওয়াইল ইবনে হুজর রা.-এর হাদীসের এই ব্যাখ্যাই গ্রহণ করেছেন।তিনি বলেন,‘হাদীসের অর্থ এই যে, ডান হাত বাম হাতের পাতা, কব্জি ও বাহুর উপর রাখবে।তবারানীর রেওয়ায়েতে আছে,(আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামাযে তাঁর ডান হাত রাখলেন বাম হাতের পিঠের উপর কব্জির কাছে। (ইমাম) শাফেয়ী রাহ.-এর শাগরিদরা বলেছেন, ডান হাতের পাতা দ্বারা বাম হাতের পাতার গোড়া, কব্জি ও বাহুর কিছু অংশ পেঁচিয়ে ধরবে। হাদীসটিহাতের পাতা হাতের পাতার উপর রাখার বৈধতা প্রমাণ করে। এটিই অধিকাংশ মনীষীর গৃহীতনিয়ম। ...’ এরপর তিনি নামাযে হাত ছেড়ে রাখার প্রসঙ্গ আলোচনা করেন।-নায়লুল আওতার ২/১৮১
       এরপর হযরত সাহল ইবনে সাদ রা.থেকে বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে বলেন, ‘যিরার কোন অংশে ডান হাত রাখা হবে তা এ হাদীসে অস্পষ্ট। তবে আহমদ ও আবু দাউদের রেওয়ায়েতে  যা ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে তা পরিষ্কারভাবে পাওয়া যায়।- নায়লুল আওতার ২/১৮৯
        সুতরাং শাওকানী রাহ.-এর মতেও সাহল ইবনে সাদ রা.-এর হাদীসের অর্থ হাতের পাতা হাতেরপাতার উপর রাখা,তবে এমন ভাবে,যেন তাযিরার কিছু অংশের উপর থাকে।

        মোট কথা সাহল বিন সাদ এবং ওয়াইল বিন হুজর রাযিঃ এর হাদীসে ডান হাত অর্থাৎ ডান হাতের যিরা-এর কোনো প্রমাণ নেই;বরং এই ব্যাখ্যা করা হলে তা হবে এই দুই হাদীসের শায ও বিচ্ছিন্ন ব্যাখ্যা।কারণ হাদীসও ফিকহের নির্ভরযোগ্য কোনো ইমাম ও ভাষ্যকার এইব্যাখ্যা করেননি।

চার মাযহাবের অবস্থানঃ
এবার আমরা সংক্ষেপে দেখবো এ ব্যাপারে চার মাযহাবের অবস্থান কি

ফিকহে হানাফী 

        বিখ্যাত হানাফী ফকিহ আলেম হালবী রাহঃ মুনয়াতুল মুসল্লী এর ভাষ্যগ্রন্থে লিখেছেন-
“...উল্লেখিত হাদীগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন কল্পে সুন্নত হলো হাত রাখা ও বাঁধা দুটির উপরই আমল করা। কারণ কিছু হাদীসে চেপে ধরার কথা এসেছে, কিছু হাদীসে হাতকে হাতের উপর রাখার কথা এসেছে। আর কিছু হাদীসে বাহুর উপর হাত রাখার কথা এসেছে। এগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের পদ্ধতি হলো, ডান হাতের তালু বাদ হাতের পিঠের উপর রাখবে, বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্ঠা আঙ্গুলি দ্বারা কব্জি চেপে ধরবে, আর বাকি তিন আঙ্গুল বাহুর উপর বিছিয়ে দিবে তাহলে হাতের উপর হাত রাখা , বাহুর উপর হাত রাখা এবং ডান হাত চেপে ধরা,সবগুলোই হাসিল হবে। ”

ফিকহে মালেকীঃ

        আল্লামা উব্বী মালেকী রহঃ মুসলিম শরীফের ভাষ্যগ্রন্থে লিখেছেন-
“আমাদের শায়েখগণ বলেছেন, ডান হাত দ্বারা বাম হাতের কব্জি চেপে ধরবে। কেউ কেউ এ কথাও যোগ করেছেন, শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুলি যেন বাহুর উপর থাকে।” (২/২৭৮)

ফিকহে শাফেয়ী

        ইমাম নববী রাহঃ বলেন –
“সুন্নতহলো ডান হাত বাম হাতের উপর এভাবে রাখবে যে, ডান হাতের তালু দ্বারা বাম হাতের বৃদ্ধঙ্গুলির গোড়ার হাড়, কব্জির কিছু অংশ এবং বাহু চেপে ধরবে” (আররাওজাহ ২/৩৩৯)  ।
পূর্বে শাফেয়ী মাযহাব সম্পর্কে ইমাম নববী রাহঃ এর আরেকটি উক্তি উল্লেখ করা হয়েছে । (শরহুল মুহাযযাব ৪/৩২৭) ।

ফিকহে হাম্বলীঃ

        হাম্বলী মাযহাব সম্পর্কে ইবনে মানসূর আল হাম্বালী রহঃ বলেন-
“অতঃপরবাম হাতের কব্জি ডান হাত দ্বারা চেপে ধরবে। এবং নাভির নীচে রাখবে।(১/১৬৫)” ।মারদাবী রাহঃ আল ইন্সাফ গ্রন্থে (২/৪৫) ও ইবনে মুফলিহ রাহঃ আল ফুরু গ্রন্থে (১/৩৬১)একই কথা বলেছেন।

যে কারণে তাদের বিভ্রান্তি ঘটেছেঃ

        মূলত বুখারীতে  বর্ণিত সাহল বিন সা’দ রাযি হাদীসের “যিরা” শব্দটির ব্যাবহারীক পদ্ধতি না বুঝার কারণেই তাদের বিভ্রান্তি ঘটেছে। হাদীসের বর্ণনা –“লোকদেরকে আদেশ করা হত, তারা যেন তার ডানহাত বাম যিরার উপর রাখে।”(সহীহ বুখারী ১/১০৪)
        আরবীতে হাতের আঙুলের মাথা থেকেই কনুই পর্যন্ত অংশকে ‘যিরা’ বলে। হাদীসের কোথাও বলা নেই ডান হাতকে সম্পূর্ণ যিরার উপর রাখতে হবে। যিরার কোন একটি অংশের উপর রাখলেই জিরার উপর রাখা হয়ে যায়।
এখন কেউ যদি এ কথা বলে যে ‘হাদীসে যেহেতু যিরা শব্দ এসেছে সেহেতু পুরা জিরার উপরই রাখতে হবে’ তাহলে আমি বলবো কোরআন ও হাদীসের এরুপ আরো বর্ণনা আছে যেখানে শরিরের কোন একটি অংশের বর্ণনা করা হলেও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ঐ অংশ না। যেমন সূরা নূহ এ বর্ণিত আছে –“......তারা কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়েছে...”(সূরা নূহ-আয়াত ৭)
কোরআনে আছে তারা কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়েছে কিন্তু এখানে আঙ্গুল দ্বারা কি সম্পূর্ণ আঙ্গুল উদ্দেশ্য? অবশ্যই না। কারণ কানের ক্ষুদ্র ছিদ্রের মধ্যে আঙ্গুলের অল্প অংশই প্রবেশ করে অথচ আল্লাহ আঙ্গুলের ক্ষুদ্র অংশের কথা উল্লেখ না করে সম্পূর্ণ অংশের কথা বললেন।

        ব্যাস। আমি আর আলোচনা দীর্ঘ করতে চাচ্ছি না। আল্লাহ যাদের হক বোঝার তৌফিক দিবে শুধু তারাই হক পাবে। আল্লাহ বেদাআত থেকে আমাদের হেফাযত করুন।

রিসালাটি প্রস্তুত করার জন্য প্রথমত আমি বিজ্ঞ আলেমদের সাথে পরামর্শ করে তাদের নির্দেষনা অনুযায়ী লিখেছি। পাশাপাশি নির্দেশনা অনুযায়ী যাকারিয়া আব্দুল্লাহ সাহেবের "বুকের উপর হাত বাঁধা : বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা " নামক প্রবন্ধ এবং মাওলানা আব্দুল মরিন সাহেবের "দলিল সহ নামাযের মাসায়েল" নামক কিতাব থেকে লিখেছি। লেখার পরিমাপ ছোট রাখার জন্য  হাদীসের আরবী পাঠ, এবং ইমামগনের মন্তব্যের আরবী পাঠ উল্লেখ করিনি।  

------(মুসলিম)

وعن سعد بن أبي وقاص رضي الله عنه قال: كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم ستة نفر، فقال المشركون للنبي صلى الله عليه وسلم: اطرد هؤلاء لايجترئون علينا، وكنت أنا وابن مسعود ورجلان لست أسميهما، فوقع في نفس رسول الله صلى الله عليه وسلم ما شاء الله أن يقع، فحدث نفسه، فأنزل الله تعالى: {ولا تطرد الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي يريدون وجهه} ((الأنعام: 52: رواه مسلم)).

ইয়াতিম, কন্যা শিশু এবং দুর্বল, নিঃস্ব ও সর্বশান্ত লোকদের সাথে সদ্বয় ব্যবহার আদর-স্নেহ, দয়া-অনুগ্রহ এবং বিনয়-নম্রতা প্রদর্শন অধ্যায় ::

হযরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস বর্ণনা করেনঃ একদা আমরা ছয় ব্যক্তি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। তখন মুশরিকরা রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললোঃ এই লোকগুলোকে আপনার নিকট থেকে তাড়িয়ে দিন। তাহলে তারা আমাদের ওপর মাতব্বরী করতে পারবে না। আমরা ছিলামঃ (ছয় ব্যক্তি) আমি (সা’দ), ইবনে মাসউদ, হুযাইল গোত্রের এক ব্যক্তি বিলাল এবং অন্য দু’ব্যক্তি, যাদের নাম আমার স্মরণ নেই। আল্লাহর ইচ্ছায় রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্তরে কিছু কথার উদয় হলো। সে কারণে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। ইতোমধ্যে আল্লাহর তরফ থেকে ওহী নাযিল হলোঃ ‘যারা আপন প্রভুকে দিন-রাত ডাকতে থাকে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে ব্যস্ত থাকে, তাদেরকে তোমার নিকট থেকে দূরে সরিয়ে দিও না। তাদের হিসাবের কোন জিনিসের দায়িত্ব তোমার ওপর বর্তায় না এবং তোমার হিসাবেরও কোন জিনিসের বোঝা তাদের উপর ন্যাস্ত নয়। এতৎসত্ত্বেও তুমি যদি তাদেরকে দূরে সরিয়ে দাও তবে তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
(সূরা আন’আমঃ ৫২)

------(মুসলিম)